ঢাকা ০১:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে ২২০০ ফলজ বৃক্ষ বিতরণ ‎দুমকী উপজেলায়, ছাত্রদল নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে , উপজেলায়,ও জেলায় জরুরী মিটিং লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পাানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচে দুমকী উপজেলায় বিভিন্ন হাটে, সবজির বাজারে স্বস্তি লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে মাষকলাই চাষ দুমকি,কলসকাঠি,বগায় , আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প দিন দিন কমছে লালমনিরহাটে আখ চাষ বরিশালে ধানের ব্লাস্ট রোগের টেকসই ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় শেষ মুহূর্তে রং তুলির আঁচড়ে দেবীকে ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা মহিপুরে ২ ট্রলিং বোট ও বেহুন্দী জালসহ ১২ জেলে আটক

লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পাানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৭:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি


লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৭সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানতে চাইলে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজের উজানে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় বিপদসীমার (৫২দশমিক ১৫সেন্টিমিটার) ৩সেন্টিমিটার উপর দিয়ে তথা ৫২দশমিক ১৮সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। দুপুর ১২টায় তা কমে গিয়ে বিপদসীমার ১সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানিপ্রবাহ পরিমাপ করা হয়। বিকাল ৩টায় আরও ১সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ কমে যায়। সন্ধ্যা ৬টায় আরও ৫সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ কমে বিপদসীমার ৭সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার আরও পানি প্রবাহ কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তিস্তা ব্যারাজের উজানে ভারতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে রবিবার তিস্তা নদীতে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে তা কমতে শুরু করেছে। ফলে আমন ধান ক্ষেতের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় বলেন, তিস্তা ব্যারাজের উজানে ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তা বিপদসীমার উপর দিয়ে রবিবার পানি প্রবাহ থাকলে সোমবার তা কমে গেছে। এখন বিপদসীমা ৫২দশমিক ১৫সেন্টিমিটারের ৭সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহ বিরাজ করছে। ব্যারাজের সবগুলো জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। আশা করছি, তেমন কোনো ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ সাইখুল আরিফিন বলেন, ‘তিস্তা নদীর ফ্লাসফ্লাডে আমন ধানের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে বৃষ্টিপাতের কারণে শাক-সবজির কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। বিষয়টি স্থানীয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সতর্ক রাখা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পাানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচে

আপডেট সময় : ১০:৪৭:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫


লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৭সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানতে চাইলে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজের উজানে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় বিপদসীমার (৫২দশমিক ১৫সেন্টিমিটার) ৩সেন্টিমিটার উপর দিয়ে তথা ৫২দশমিক ১৮সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। দুপুর ১২টায় তা কমে গিয়ে বিপদসীমার ১সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানিপ্রবাহ পরিমাপ করা হয়। বিকাল ৩টায় আরও ১সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ কমে যায়। সন্ধ্যা ৬টায় আরও ৫সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ কমে বিপদসীমার ৭সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার আরও পানি প্রবাহ কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তিস্তা ব্যারাজের উজানে ভারতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে রবিবার তিস্তা নদীতে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে তা কমতে শুরু করেছে। ফলে আমন ধান ক্ষেতের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় বলেন, তিস্তা ব্যারাজের উজানে ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তা বিপদসীমার উপর দিয়ে রবিবার পানি প্রবাহ থাকলে সোমবার তা কমে গেছে। এখন বিপদসীমা ৫২দশমিক ১৫সেন্টিমিটারের ৭সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহ বিরাজ করছে। ব্যারাজের সবগুলো জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। আশা করছি, তেমন কোনো ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ সাইখুল আরিফিন বলেন, ‘তিস্তা নদীর ফ্লাসফ্লাডে আমন ধানের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে বৃষ্টিপাতের কারণে শাক-সবজির কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। বিষয়টি স্থানীয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সতর্ক রাখা হয়েছে।