ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে ২২০০ ফলজ বৃক্ষ বিতরণ ‎দুমকী উপজেলায়, ছাত্রদল নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে , উপজেলায়,ও জেলায় জরুরী মিটিং লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পাানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচে দুমকী উপজেলায় বিভিন্ন হাটে, সবজির বাজারে স্বস্তি লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে মাষকলাই চাষ দুমকি,কলসকাঠি,বগায় , আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প দিন দিন কমছে লালমনিরহাটে আখ চাষ বরিশালে ধানের ব্লাস্ট রোগের টেকসই ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় শেষ মুহূর্তে রং তুলির আঁচড়ে দেবীকে ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা মহিপুরে ২ ট্রলিং বোট ও বেহুন্দী জালসহ ১২ জেলে আটক

লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে মৌমাছি ও মৌচাক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি


মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের গ্রামীণ জনপদে এক সময় অনেক মৌমাছি ও মৌচাকের দেখা মিললেও এখন তা প্রায় অধরা। লালমনিরহাট জেলা শহরের মতো গ্রামগঞ্জেও নগরায়ন-শিল্পায়নের কারণে এবং বড় বড় গাছ ঝোপ-জঙ্গল উজার করার ফলে প্রজননের পরিবেশ ও আবাসন সমস্যার কারণে মৌমাছি ও মৌচাক প্রায় বিলুপ্তি হচ্ছে। এতে করে বিরূপ প্রভাব পড়েছে ফল ও ফসল উৎপাদনে।

রবি শস্য ও মৌসুমী ফুলে হাজারও মৌমাছির বিচরণসহ ফুল থেকে রস আহরণের প্রতিযোগিতা দেখা যেত এক সময়। মুখে রস নিয়ে মৌমাছি যায় তার আপন গন্তব্যে। লালমনিরহাট জেলার মানুষের কাছে যার নাম মৌচাক বলে পরিচিত। প্রাকৃতিক দূর্যোগ, অধিক তাপমাত্রা, চাক বাঁধার প্রতিকূল পরিবেশ ও যত্রতত্র অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার বন-জঙ্গল উজার করার ফলে মৌমাছি ও মৌচাক বিলুপ্তির প্রধান কারণ বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের শ্রী হরিপদ রায় হরি ও কোদালখাতা গ্রামের শ্রী কমল কান্তি বর্মণ বলেন, এখন আর মৌমাছি ও মৌচাক তেমন দেখা যায় না। ভালো ফল ও ফসল উৎপাদনসহ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় মৌমাছি সংরক্ষণ করা জরুরী।

লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে তিন প্রজাতির মৌমাছির দেখা মেলে। পাহাড়িয়া, ক্ষুদে ও খুড়েল। বড় বড় গাছ ও দালানের কার্নিশে পাহাড়িয়া মৌমাছি চাক বাঁধে। খুদে মৌমাছি বন-বাদাড়ে ছোট ছোট গাছে এবং খুড়েল বিভিন্ন বড় বড় গাছের কুঠুরিতে বাসা বাঁধে। প্রকৃতির মাঝ থেকে বড় বড় গাছ দিন দিন কেটে ফেলা, বড় ভবন মালিকরা ভীতি থেকে মৌমাছি তাড়িয়ে দেওয়া, অদক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে (যারা চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে) অপরিকল্পিতভাবে মধু সংগ্রহ করার সময় ধোঁয়া ও আগুনের আঁচ দিয়ে মৌমাছি তাড়াতে গিয়ে তা মেরে ফেলার কারণেই আজ প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মৌমাছি। মৌমাছি বিলুপ্ত হতে থাকায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে ফল ও ফসল উৎপাদনে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব বলেন, মৌমাছি ও পোকা মাকড় পরাগায়নে সহায়তা করে। ফুলের রস আহরণ করে জীবন ধারণ করে এবং উপহার দেয় মধু। এগুলো না থাকলে প্রাণি ও উদ্ভিদ জগত ধ্বংস হবে। মানুষসহ অন্যান্য প্রাণিরও ক্ষতি হবে। পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখার জন্য পরাগায়ন প্রক্রিয়া খুবই দরকারি।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দীপংকর রায় বলেন, মধু একটি পুষ্টিকর খাবার, এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এক কথায় মুধু ওষুধি গুণাগুণে অতুলনীয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

লালমনিরহাটে বিলুপ্তির পথে মৌমাছি ও মৌচাক

আপডেট সময় : ০৯:৫১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫


মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের গ্রামীণ জনপদে এক সময় অনেক মৌমাছি ও মৌচাকের দেখা মিললেও এখন তা প্রায় অধরা। লালমনিরহাট জেলা শহরের মতো গ্রামগঞ্জেও নগরায়ন-শিল্পায়নের কারণে এবং বড় বড় গাছ ঝোপ-জঙ্গল উজার করার ফলে প্রজননের পরিবেশ ও আবাসন সমস্যার কারণে মৌমাছি ও মৌচাক প্রায় বিলুপ্তি হচ্ছে। এতে করে বিরূপ প্রভাব পড়েছে ফল ও ফসল উৎপাদনে।

রবি শস্য ও মৌসুমী ফুলে হাজারও মৌমাছির বিচরণসহ ফুল থেকে রস আহরণের প্রতিযোগিতা দেখা যেত এক সময়। মুখে রস নিয়ে মৌমাছি যায় তার আপন গন্তব্যে। লালমনিরহাট জেলার মানুষের কাছে যার নাম মৌচাক বলে পরিচিত। প্রাকৃতিক দূর্যোগ, অধিক তাপমাত্রা, চাক বাঁধার প্রতিকূল পরিবেশ ও যত্রতত্র অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার বন-জঙ্গল উজার করার ফলে মৌমাছি ও মৌচাক বিলুপ্তির প্রধান কারণ বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের শ্রী হরিপদ রায় হরি ও কোদালখাতা গ্রামের শ্রী কমল কান্তি বর্মণ বলেন, এখন আর মৌমাছি ও মৌচাক তেমন দেখা যায় না। ভালো ফল ও ফসল উৎপাদনসহ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় মৌমাছি সংরক্ষণ করা জরুরী।

লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে তিন প্রজাতির মৌমাছির দেখা মেলে। পাহাড়িয়া, ক্ষুদে ও খুড়েল। বড় বড় গাছ ও দালানের কার্নিশে পাহাড়িয়া মৌমাছি চাক বাঁধে। খুদে মৌমাছি বন-বাদাড়ে ছোট ছোট গাছে এবং খুড়েল বিভিন্ন বড় বড় গাছের কুঠুরিতে বাসা বাঁধে। প্রকৃতির মাঝ থেকে বড় বড় গাছ দিন দিন কেটে ফেলা, বড় ভবন মালিকরা ভীতি থেকে মৌমাছি তাড়িয়ে দেওয়া, অদক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে (যারা চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে) অপরিকল্পিতভাবে মধু সংগ্রহ করার সময় ধোঁয়া ও আগুনের আঁচ দিয়ে মৌমাছি তাড়াতে গিয়ে তা মেরে ফেলার কারণেই আজ প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মৌমাছি। মৌমাছি বিলুপ্ত হতে থাকায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে ফল ও ফসল উৎপাদনে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব বলেন, মৌমাছি ও পোকা মাকড় পরাগায়নে সহায়তা করে। ফুলের রস আহরণ করে জীবন ধারণ করে এবং উপহার দেয় মধু। এগুলো না থাকলে প্রাণি ও উদ্ভিদ জগত ধ্বংস হবে। মানুষসহ অন্যান্য প্রাণিরও ক্ষতি হবে। পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখার জন্য পরাগায়ন প্রক্রিয়া খুবই দরকারি।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দীপংকর রায় বলেন, মধু একটি পুষ্টিকর খাবার, এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এক কথায় মুধু ওষুধি গুণাগুণে অতুলনীয়।