নারীকে কুপিয়ে জখম, শ্লীলতাহানির অভিযোগ
- আপডেট সময় : ১২:৩৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পারুল বেগম (৪০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই নারী শীরের যন্ত্রনা নিয়ে হাসাপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এসময় ওই নারীর কন্যা হাজেরা (১৭) কেও মারধর করা হয়। মঙ্গলবার বিকাল চারটার দিকে উপজেলার ধুলাস্বর ইউনিয়নের নয়াকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কান্না জড়িত কন্ঠে ওই নারী বলেন, তাদের দেড় একর জমি নিয়ে তার স্বামী খলিলুর রহমানের সঙ্গে প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম বাবুলের দীর্ঘ দিনের বিরোধ ছিলো। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ মিশাংসাও হয়েছে। স্খানীয় সালিশদাররা বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দুই পক্ষকেই ভোগ দখল করতে নিষেধ করেন। গত মঙ্গলবার বাবুলের ভাই দুলাল সহ তাদের পরিবারের সদস্যরা ওই বিরোধীয় জমির পুকুরে মাছ ধরতে যায়। এসময় বাড়িতে তার স্বামী খলিল না থাকায় তিনি মাছ শিকারে বাঁধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুলাল ও বাবুল দেশীয় অস্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। এছাড়া বাবুলের বাবা হারিছ, স্ত্রী সীমা, বোন খাইরুন নেছা, ভগ্নপতি লিটন, দুলালের ছেলে হাসান ও বাবুলের ছেলে সাব্বির সহ ৮ থেক ১০ জন তাকে বেধড়ক মারধর করে এবং তার পরিধেয় কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানি করে। পরে তার কান ও গলার স্বর্নালংকার এবং মুডোফোন ছিনিয়ে নেয় তারা। মাকে বাঁচাতে মেয়ে হাজেরা এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে।
পারুল বেগমের স্বামী খলিলুর রহমান বলেন, আমি ধুলাস্বর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য। শুধুমাত্র জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবুল ৫ আগষ্টের পর আমাকে ঢাকার দুই দুইটা মিথ্যা মালায় জড়িয়ে দেয়। সেসব মামলায় খালাস পেতে আমার ব্যাপক অর্থ খরচ হয়েছে। গত মঙ্গলবার আমরা কেউ বাড়ি না থাকার সুযোগে বাবুলের পরিবারের সবাই মিলে আমরা স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যাপক মারধর করেছি। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
এ বিষয়ে জানতে সাইফুল ইসলাম বাবুল বলেন, ওইদিন আমরা পুরুষরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। ঘটনা ঘটিয়েছে মহিলারা মহিলারা। আমি ছিলাম বিএনপি নেতা মোশাররফ ভাইর প্রোগ্রামে। কি হইছে না হইছে সেটা আমি সঠিক বলতে পারবোনা। এ ঘটনা নিয়ে সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি মাহমুদ হাসান বলেন, মারধরের পর আহতবস্থায় ওই নারী থানায় এসেছিলো। আমরা তাকে চিকিৎসা নিতে বলেছি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।













