আমরা এমন কাজ করবোনা যাতে আমাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়- এবিএম মোশাররফ হোসেন
- আপডেট সময় : ১০:২৮:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫ ১৫৫ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেক নেতৃবৃন্দ ভারতে পালিয়েছে। আমাদের কিন্তু পালাবার জায়গা নেই। অতএব আপনাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের স্বার্থ বিরোধী কোনো কাজ করা যাবে না।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় কলাপাড়া পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকার দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে উপজেলা বিএনপির নতুন বাজার এলাকার দলীয় কার্যালয় থেকে এ উপলক্ষে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হয়। এতে দলের বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহন করেন। তবে নীলগঞ্জ ইউনিয়ন শাখা বিএনপির নেতৃবৃন্দের মিছিলটি ছিল নজর কাড়ার মতো। এ মিছিলের নেতৃত্ব দেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল আলম বাদল মাতুব্বর।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন সিকদারের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির জেষ্ঠ্য সহসভাপতি মো. জাফরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান, কলাপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মোহাম্মদ ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নাননু মুন্সী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ‘বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করেনা। আমরা বিভিন্ন সময় ক্ষমতায় ছিলাম, পরে অন্যরা ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু আমাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়নি। আমরা এমন কোনো কাজ করবোনা যাতে আগামীতে আমাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়। দেশের মানুষ যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে, আমরা সেভাবেই এগিয়ে যেতে চাই। জনমানুষের সুখে-দুঃখে আমরা সব সময় পাশে থাকতে চাই।’
এ উপলক্ষে কলাপাড়া উপজেলা সদর ছাড়াও মহিপুর থানা সদর এবং পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে নিহত ও আহতদের স্মরণে দোয়ারও আয়োজন করা হয়।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ এসব কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এর আগে সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ মোহাম্মদ মিরাজুল ইসলাম ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন বিথী রানী।










