ঢাকা ০২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলাপাড়ায় গর্ভবতী গরু জবাই ও মাংস বিক্রির দায়ে কসাইকে জরিমানা ও কারাদন্ড আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক জিয়া…. এবিএম মোশাররফ হোসেন নারীকে কুপিয়ে জখম, শ্লীলতাহানির অভিযোগ রাঙ্গাবালীতে শ্রমিক দলের আহ্বায়ক জুয়েলের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ, কথোপকথনের অডিও ভাইরাল কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী  আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন এবিএম মোশাররফ হোসেন কুয়াকাটায় রাস উৎসব উপলক্ষে চলছে শেষ মুহুর্তের সাজ সজ্জার কাজ যাত্রীবাহী ছয়টি বাস থেকে ৩৫ মন নিষিদ্ধ জাটকা ইলিশ আটক করেছে ভ্রাম্যমান আদালত নিরীহ আওয়ামীলীগকে সহায়তার আহ্বান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোশাররফের এনসিপির মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহকে শাপলা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন কৃষকরা সরকারি ভাতা নিতে ভরসা পাই বিকাশ-এ

আশাশুনিতে সাতদিনের টানা বৃষ্টিতে পানির তলে জনপদ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫ ১২২ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় সাতদিনের টানা বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের জনবসতি, মৎস্য ঘের ও সবজির ক্ষেত। এতে পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বসতঘর, রান্নাঘর, গোয়ালঘর ও চলাচলের রাস্তাঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে টিউবওয়েল, দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা।

উপজেলার বুধহাটা, কুল্যা, দরগাহপুর, কাদাকাটি, আশাশুনি সদর, শ্রীউলা, খাজরা, আনুলিয়া, প্রতাপনগর, বড়দল ও শোভনালী ইউনিয়নের অধিকাংশ ঘরবাড়ি ও ঘের এখন জলমগ্ন। বহু মাছের ঘেরের বাঁধ তলিয়ে গেছে। অনেক জায়গায় বাঁধের উপর নেটজাল দিয়ে শেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন ঘের মালিকরা।

বুধহাটা গ্রামের বাসিন্দা এডভোকেট শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বেতনা নদী খননের কাজ শেষ না হওয়ায় এবং নদী প্রবাহে বাঁধ দেওয়ার কারণে পানি নামতে পারছে না। ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।’

নৈকাটি গ্রামের মোশাররফ হোসেন জানান, ‘বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য খালের পলিমাটি সরাতে হবে। বুধহাটা, নওয়াপাড়া, শ্বেতপুর, মহেশ্বরকাটি ও বেউলা এলাকার পানি মরিচ্চাপ নদীতে ফেলানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

নাগরিক নেতা প্রভাষক ইয়াহিয়া ইকবাল বলেন, ‘ঘেরের পাশে থাকা নেটপাটা অপসারণ, খাল-নদী খনন, বিকল স্লুইসগেট সংস্কার এবং খাল খননে দুর্নীতি প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিত মজুমদার জানান, ‘বেশিরভাগ মৎস্য ঘের বৃষ্টির পানিতে হুমকির মুখে রয়েছে। অনেক ঘের ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে। মালিকরা মাছ রক্ষায় নেটজাল ব্যবহার করছেন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় জানান, ‘নদীর বাঁধগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। হুমকিতে থাকা বাঁধ রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। আশাশুনি উপজেলার বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী ও খাল খনন এবং কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। তবে একটানা বৃষ্টির কারণে পানি নিস্কাশনে সমস্যা হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আশাশুনিতে সাতদিনের টানা বৃষ্টিতে পানির তলে জনপদ

আপডেট সময় : ০১:১৬:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় সাতদিনের টানা বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের জনবসতি, মৎস্য ঘের ও সবজির ক্ষেত। এতে পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বসতঘর, রান্নাঘর, গোয়ালঘর ও চলাচলের রাস্তাঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে টিউবওয়েল, দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা।

উপজেলার বুধহাটা, কুল্যা, দরগাহপুর, কাদাকাটি, আশাশুনি সদর, শ্রীউলা, খাজরা, আনুলিয়া, প্রতাপনগর, বড়দল ও শোভনালী ইউনিয়নের অধিকাংশ ঘরবাড়ি ও ঘের এখন জলমগ্ন। বহু মাছের ঘেরের বাঁধ তলিয়ে গেছে। অনেক জায়গায় বাঁধের উপর নেটজাল দিয়ে শেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন ঘের মালিকরা।

বুধহাটা গ্রামের বাসিন্দা এডভোকেট শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বেতনা নদী খননের কাজ শেষ না হওয়ায় এবং নদী প্রবাহে বাঁধ দেওয়ার কারণে পানি নামতে পারছে না। ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।’

নৈকাটি গ্রামের মোশাররফ হোসেন জানান, ‘বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য খালের পলিমাটি সরাতে হবে। বুধহাটা, নওয়াপাড়া, শ্বেতপুর, মহেশ্বরকাটি ও বেউলা এলাকার পানি মরিচ্চাপ নদীতে ফেলানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

নাগরিক নেতা প্রভাষক ইয়াহিয়া ইকবাল বলেন, ‘ঘেরের পাশে থাকা নেটপাটা অপসারণ, খাল-নদী খনন, বিকল স্লুইসগেট সংস্কার এবং খাল খননে দুর্নীতি প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিত মজুমদার জানান, ‘বেশিরভাগ মৎস্য ঘের বৃষ্টির পানিতে হুমকির মুখে রয়েছে। অনেক ঘের ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে। মালিকরা মাছ রক্ষায় নেটজাল ব্যবহার করছেন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় জানান, ‘নদীর বাঁধগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। হুমকিতে থাকা বাঁধ রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। আশাশুনি উপজেলার বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী ও খাল খনন এবং কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। তবে একটানা বৃষ্টির কারণে পানি নিস্কাশনে সমস্যা হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।’