বিএনপি নির্বাহী কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, যারা আওয়ামীলীগের অন্যায় করেনি, লটুপাট করেনি আপনার বাড়ির পাশে যারা ভালো আওয়ামীলীগ আছে তাদেরকে আপনারা যে যা পারেন সহায়তা করনে। কারন বিপদের সময় মানুষের পাশে দাড়ানো ঈমানী দায়িত্ব। আর আওয়ামীলীগের যারা অন্যায় করেছে, তারা অনেকে পালিয়েছে। যারা আছে তাদের বিচার করবে আদালত। আমরা কেউ আইন হাতে তুলে নিব না। অন্যায় না করা আওয়ামীলী মারলে আমরা যখন ক্ষমতায় থাকবোনা তখনো আমাদের মার খেতে হবে। আমরা আওয়ামীলীগ, বিএনপি,জাতীয় পার্টি, জামাত ও চরমোনাই সহ সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাস করতে চাই।বরিবার সন্ধ্যায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আয়োজিত উপজেলা বিএনপি কার্যালয় প্রাঙ্গনে যুব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি আরো বলেন, আগামীতে যদি সুষ্ঠ ভোট হয় বিএনপি একক ভাবে ক্ষমতায় যাবে, কিন্তু আমার নেতা তারেক রহমান বলছেন, আগামী দিনে তিনি একক ভাবে সরকার গঠন করবে না। সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার ঘোষণা করবেন। তার নাম দিয়েছেন, রেইনবো নেশন, অর্থাৎ সমন্বিত ভাবে তিনি আগামী দিনে বাংলাদেশকে পরিচালনা করতে চান। যুবদলের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দুর্নীতি, অত্যাচার ও গুমের কারনে ৩০০ এমপি, ৪৯৭ জন চেয়ারম্যান,৩৬৭ টা মেয়র ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও কিন্তু শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে পারেনাই। যদি অন্যায়, নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী করেন আপনাদের অবস্থাও কিন্তু শেখ হাসিনার মতো হবে। 

কলাপাড়া উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে সমাবেশ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান খোকন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু তালুকদার,  পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মো. ফারুক,  সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নান্নু মুন্সী।  সমাবেশ প্রধান বক্তা ছিলেন পৌর যুবদলের আহবায়ক কামরুজ্জামান কাজল তালুকদার।

সমাবেশে বক্তারা যুবদলের ৪৭ বছরের ইতিহাস ও ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, যুবদলের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার  জনগণের অধিকার আদায় ও দেশের যুবসমাজকে সংগঠিত করা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।