আমতলীতে পিতার শোকে শিশু মোনালিসার আর্তনাদ
- আপডেট সময় : ১০:১৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫ ১৩৮ বার পড়া হয়েছে
শিশু মোনালিসাকে কাঁদতে কাঁদতে বলতে শোনা যায়,”আমার আব্বুকে ছেড়ে দাও। আব্বু কে ছাড়া আমি বাঁচব না। প্লিজ আব্বুকে আমার কাছে দেও। আব্বু আব্বু বলতে বলতে শিশু মোনালিসা আজ্ঞান হয়ে পড়ে”।
আমতলীতে চাঁদাবাজি মামলায় জেল হাজতে থাকা ইমরান হোসেন সাগরের শিশু কন্যা মোনালিসা পিতার শোকে কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মা মীম ও খালা খাদিজা শিশু কন্যা মোনালিসাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখানোর জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের নির্দেশনা মোতাবেক শিশু মোনালিকে ২ আগষ্ট ২০২৫ তারিখ ভর্তি করানো হয়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ আগষ্ট ২০২৫ তারিখের ডকেট নম্বর ৭৮৩৫/৮০/৪৪। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, আমতলী থানার গত ৩১/৭/২০২৫ ইং তারিখের চাঁদাবাজি মামলা নম্বর ৫০ উক্ত মামলাটিতে শিশু কন্যা মোনালিসার পিতা ইমরান হোসেন সাগর গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন। ইমরান হোসেন সাগর বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশনে সহকারী জেলা ম্যানেজার পদে আমতলীতে চাকুরি করছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী জোসেফ মাহতাব এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আমতলী পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক টি এম রেদওয়ান বায়েজীদ বলেন,”শিশু মোনালিসা পিতার শোকে অসুস্থ হয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। শিশু মোনালিসার পারিবারিক দায়িত্ব একমাত্র তার পিতা পালন করে থাকেন এবং শিশু মোনালিসার মা মীম বিভিন্ন রোগে অসুস্থ। শিশু মোনালিসার মা মীম প্রায়ই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। শিশু কন্যা মোনালিসা এবং মীমের পারিবারিক দায়িত্ব একমাত্র ইমরান পালন করেন। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, আমতলী, বরগুনা মহোদয়ের কাছে বিনীত অনুরোধ, মানবিক বিবেচনায় ফৌজদারি কার্যবিধি এর ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী মানবিক বিবেচনায় অসুস্থ শিশুর পিতাকে জামিন মঞ্জুর করার জন্য সদয় বিবেচনা করার বিনীত অনুরোধ জানাই”।









