ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুফতি হাবিবুর রহমানকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার কালাপাড়ায় চুক্তিপত্র জালিয়াতি করে কৃষকের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবসে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা অভিযান কলাপাড়ায় সরকারি বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে পরীক্ষা নিলেন ইউএনও কলাপাড়ায় ইউএনওর গাড়ি চালক আফজালের অনৈতিক কাজের ভিডিও ফাঁস- সমালোচনার ঝড় কলাপাড়ায় ইউএনও গাড়িচালকের অনৈতিক কাজের ভিডিও ফাঁস—সমালোচনার ঝড়। কিডনি রোগে আক্রান্ত মেধাবী শিক্ষার্থী আঁখি, চিকিৎসার জন্য মানবিক সহায়তা প্রয়োজন  আমরা চাইনা বিএনপি ক্ষমতায় এলে আওয়মীলীগ লোক বিনা অপরাধে জেল খাটকু…. মোশাররফ হোসেন কলাপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের বাবা ছেলে ছেলেকে পিটিয়ে জখম বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক পরিবারের বয়োজেষ্ঠ্য ব্যক্তিকে ফেমিলি কার্ড করে দেওয়া হবে …..মোশাররফ হোসেন

বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ এক জেলের লাশ উদ্ধার

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৫২:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫ ৭৮ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৫ জেলের মধ্যে নজরুল ইসলাম (৫৮) নামের এক জেলের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় সৈকতের মিরা পয়েন্ট থেকে ওই জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। 

নিহত নজরুল ইসলাম উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চর-চান্দু পাড়া গ্রামের মৃত তাজেম আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি এফবি সাগরকন্যা নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারে কাজ করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মনসুর হাওলাদার জানান, ‘সকালে সাগর পাড় থেকে আমি কুয়াকাটা যাচ্ছিলাম। তখন দেখি সৈকতে লাশটি পড়ে আছে। শরীরের কিছু অংশ গলে গেছে। কয়েক দিন আগে মারা গেছে হয়তো

নিহতের ছেলে নাসির হাওলাদার বলেন, ‘গত ২৩ জুলাই মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে বাবা সাগরে গিয়ে প্রবল ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি সমুদ্রের নিমজ্জিত হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে বাবার সন্ধান পাইনি। প্রতিদিনই প্রায় সাগরে আশেপাশে নজর রাখতাম। জীবিত ফিরবে এমনটি আশা ছিলো। এতদিন পর আজ সকালে একটি মরদেহ ভেসে এসেছে শুনে চলে আসি, এসে দেখি বাবার মরদেহ।

কয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিকাশ মন্ডল বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। সৈকতের মীরাবাড়ি পয়েন্টে কালো রংয়ের রেইনকোট পরিহিত ব্যক্তির পরিচয় তার ছেলে সনাক্ত করেছে।  পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়দের দাবী দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার  মধ্যে গভীর সমূদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে প্রতিবছর জিবীকার তাগিদে সূমুদ্রে যাওয়া জেলেদের  এভাবেই প্রাণ দিতে হবে। 

উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই বঙ্গোপসাগরের শেষ বয়ার ৭৫ কিলোমিটার গভীরে ১৫ জেলে সহ এফবি সাগরকন্যা নামের একটি মাছধরা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। সমুদ্রে ৪ দিন ভেসে থাকার পর ১০ জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ছিলেন ৫ জেলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ এক জেলের লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৪:৫২:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৫ জেলের মধ্যে নজরুল ইসলাম (৫৮) নামের এক জেলের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় সৈকতের মিরা পয়েন্ট থেকে ওই জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। 

নিহত নজরুল ইসলাম উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চর-চান্দু পাড়া গ্রামের মৃত তাজেম আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি এফবি সাগরকন্যা নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারে কাজ করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মনসুর হাওলাদার জানান, ‘সকালে সাগর পাড় থেকে আমি কুয়াকাটা যাচ্ছিলাম। তখন দেখি সৈকতে লাশটি পড়ে আছে। শরীরের কিছু অংশ গলে গেছে। কয়েক দিন আগে মারা গেছে হয়তো

নিহতের ছেলে নাসির হাওলাদার বলেন, ‘গত ২৩ জুলাই মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে বাবা সাগরে গিয়ে প্রবল ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি সমুদ্রের নিমজ্জিত হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে বাবার সন্ধান পাইনি। প্রতিদিনই প্রায় সাগরে আশেপাশে নজর রাখতাম। জীবিত ফিরবে এমনটি আশা ছিলো। এতদিন পর আজ সকালে একটি মরদেহ ভেসে এসেছে শুনে চলে আসি, এসে দেখি বাবার মরদেহ।

কয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিকাশ মন্ডল বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। সৈকতের মীরাবাড়ি পয়েন্টে কালো রংয়ের রেইনকোট পরিহিত ব্যক্তির পরিচয় তার ছেলে সনাক্ত করেছে।  পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়দের দাবী দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার  মধ্যে গভীর সমূদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে প্রতিবছর জিবীকার তাগিদে সূমুদ্রে যাওয়া জেলেদের  এভাবেই প্রাণ দিতে হবে। 

উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই বঙ্গোপসাগরের শেষ বয়ার ৭৫ কিলোমিটার গভীরে ১৫ জেলে সহ এফবি সাগরকন্যা নামের একটি মাছধরা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। সমুদ্রে ৪ দিন ভেসে থাকার পর ১০ জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ছিলেন ৫ জেলে।